অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নেত্রকোনায় আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পর এরশাদ মিয়া (৪১) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হত্যাকাণ্ডের সাত মাস পর মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবদুল মোমেন ওরফে সবুজ মিয়া (৬৫), মো. রুমান মিয়া (২৪), মো. আরমান মিয়া (১৮), আবুল কাশেম (৫৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩৭)।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২৬ মে রাতে এরশাদ মিয়া আদালত থেকে ফিরে বসতঘরের উঠানে বেঞ্চে বসে বিশ্রাম করছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা রামদা, কিরিচ, শাবল, কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে এসে তাকে মারধর শুরু করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরশাদ মিয়া ওই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের সবুজ মিয়ার সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা-মোকদ্দমাও চলছিল। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ২৯ মে ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে নেত্রকোনার আটপাড়া থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার জানান, গত ৫ জানুয়ারি এই মামলার প্রধান তিন আসামি আবদুল মোমেন ওরফে সবুজ মিয়া, রুমান মিয়া ও মো. আরমান মিয়াকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবুল কাশেম ও শফিকুল ইসলামকে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply